আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশে প্রশাসনের অভিযান

চন্দনাইশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স


মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ: আইনে আছে প্রতি ঘনফুট পাহাড় কাটার অপরাধে ১ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেয়া যাবে। কিন্তু আইনের প্রয়োগে শিথীলতা থাকায় দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে অবাধে পাহাড় কাটছে দুর্বৃত্তরা। তবে সম্প্রতি পরিবেশ আইন বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল রয়েছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সেখানে বেআইনী প্রক্রিয়ায় মাটি ও পাহাড় কাটার প্রবনতা বেড়ে যায়। কিছু ভূমি দস্যু এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। তবে এই মাটি কাটা ও পাহাড় কাটার আইন প্রয়োগ বাড়িয়েছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন।

বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছেন। গত দুই মাসে চন্দনাইশে সর্বমোট ৭টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, ‘এ সময়টাতে মাটি কাটার ও পাহাড় কাটার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি। অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ অভিযান চালাচ্ছি। গত দুই মাসে আমরা ৭টি মামলায় মোট ৪লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। দূর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় আমরা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে পাই না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তৎপর আছি।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, ‘আমি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সমন্বিতভাবে এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটায় আমরা অত্র উপজেলায় “জিরো টলারেন্স” পলিসি অবলম্বন করছি। দিন-রাত যখনই মাটি বা পাহাড় কাটার খবর আসছে আমরা তখনই অভিযান পরিচালনা করছি।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর